Skip to main content

Spyware এবং Malware কী? কিভাবে বুঝবেন আপনার ফোনে ভাইরাস আছে?

 \



কিভাবে আমি বুঝবো, আমার ফোনে স্পাইওয়্যার অথবা ম্যালওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে?


Spyware এবং Malware কী একটু জেনে নিই।


১. Malware:

Malware হল এমন একটি সফটওয়ার যা ইচ্ছাকৃতভাবে কম্পিউটার, সার্ভার বা Client কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ক্ষতি করার জন্য ডিজাইন করা হয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রকারের Malware আমাদের মধ্যে উপস্থিত যেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হল: Virus, Trojan Horse, Worm, Ransomware.



২. Spyware:

Spyware একটি ক্ষতিকর সফ্টওয়ার, যা আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হয় আপনার ইন্টারনেট এ ব্যবহৃত ডেটা এবং আপনার বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য চুরি করার জন্য। Spyware নিজেই একধরনের Malware।

Spyware বলুন বা Malware এই দুটি সফটওয়ার-ই আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। অনেক সময় আপনার অজান্তেই এই সফটওয়ার গুলি আপনার ডিভাইসে উপস্থিত থাকতে পারে। এই প্রকারের সফটওয়ার আপনার মোবাইলে উপস্থিত থাকলে খুব একটা সহজে আপনি বুঝতে পারবেন না। তাও কয়েকটি সাধারণ উপায়ে আমি আলোচনা করলাম:


১. মোবাইল এর চার্জ এর খুব দ্রুত পরিবর্তন:

আপনার মোবাইল এ কোনো Malware উপস্থিত থাকলে তা আপনার মোবাইল এর কম্পিউটিং শক্তির সাহায্য নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য অন্য কোথাও পাঠাতে থাকবে এই কারণে আপনার মোবাইল এর ব্যাটারি এর চার্জ খুব দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকবে।


২. অস্বাভাবিক ডেটা ইউসেজ:

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ট্রান্সফার এর জন্য Malware গুলি ইন্টারনেট এর ব্যবহার করে থাকে যেই কারণে আপনার মোবাইলে কোনো Malware উপস্থিত থাকলে আপনার মোবাইলে অপ্রত্যাশতভাবে ডেটা ইউসেজ বেড়ে যাবে।


৩. খারাপ পারফরম্যান্স:

আপনার মোবাইলে যদি কোনো Malware উপস্থিত থাকে তাহলে আপনার মোবাইল এর প্রসেসিং ক্ষমতা আপেক্ষিক ভাবে কমে যাবে এবং এইটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।


৪. নতুন অ্যাপ্লিকেশন:

আপনার মোবাইল এ যদি নতুন কোনো অ্যাপ্লিকেশন অপ্রত্যাশতভাবে ইনস্টল হয়ে যায় আপনার অনুমতি ছাড়াই তাহলে আপনার মোবাইলে Malware এর উপস্থিতি থাকতে পারে।


৫. উল্টোপাল্টা নোটিফিকেশন পপ-আপ:

বিভিন্ন Malware টাকা রোজগারের জন্য আপনার মোবাইলে উল্টোপাল্টা এডভার্টাইজিং নোটিফিকেশন পাঠিয়ে থাকে। আপনার মোবাইল এর সাথে যদি এইরূপ ঘটছে তাহলে এটি একটি চিন্তার বিষয়।

আপনি এতক্ষণ নিশ্চয়ই Spyware এবং Malware কতটা খারাপ জানতে পেরেছেন কিন্তু এর থেকে বাঁচার উপায় কি? কয়েকটি সহজ উপায় আলোচনা করলাম:


১. অ্যান্টিভাইরাস এর ব্যবহার:

আপনার যদি সন্দেহ হয় যে আপনার মোবাইলে Malware এর উপস্থিতি রয়েছে তাহলে আপনি সহজেই একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে সেটিকে ডিটেক্ট করে ডিলিট করতে পারেন তবে সব ক্ষেত্রে আপনি সফলতা নাও পেতে পারেন।


২. নিয়মিতভাবে নিজের ডেটার ব্যাকআপ রাখা:

বিশেষ কিছু Malware আছে যারা আপনার পার্সোনাল ডেটা কে ইনক্রিপট(Encrypt) করে দেয় এই সমস্যা এর সমাধান রূপে আপনি আপনার ডেটা এর নিয়মিতভাবে ব্যাকআপ নিয়ে রাখুন। এতে আপনার মোবাইল মালওয়ারের দ্বারা আক্রমিত হলেও আপনি কিছুটা সুরক্ষিত থাকবেন।


৩. ফ্যাক্টরি ডেটা রিসেট:

আপনি যদি ভাবছেন যে আপনার মোবাইলে Malware রয়েছে কিন্তু আপনি খুঁজতে পারছেন না। তাহলে আপনার কাছে চূড়ান্ত উপায় হিসাবে রয়েছে আপনার মোবাইলের ফ্যাক্টরি রিসেট প্রসেস(Factory Data Reset)। আপনি আপনার সমস্ত পার্সোনাল ডেটার ব্যাকআপ নিয়ে মোবাইল টিকে ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করে ফেলুন।

ধন্যবাদ

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

What is hacking? হ্যাকিং কি?

  হ্যাকিং বলতে একটি কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে অননুমোদিত অ্যাক্সেস লাভের কাজকে বোঝায়। এতে হ্যাকার অ্যাক্সেস করার জন্য অনুমোদিত নয় এমন তথ্য বা সংস্থানগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে সিস্টেমের সুরক্ষার দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করা এবং শোষণ করা জড়িত। হ্যাকিং বিভিন্ন কারণে করা যেতে পারে, যার মধ্যে আর্থিক লাভ, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, অথবা একটি সিস্টেমের নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং উন্নত করা। যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অনুমতি ছাড়া হ্যাকিং অবৈধ এবং এর ফলে ফৌজদারি অভিযোগ, জরিমানা এবং কারাদণ্ড হতে পারে। হ্যাকিং দুই ধরনের: এথিক্যাল হ্যাকিং এবং অনৈতিক হ্যাকিং। এথিক্যাল হ্যাকিং, যা পেনিট্রেশন টেস্টিং নামেও পরিচিত, দুর্বলতা শনাক্ত করতে এবং নিরাপত্তা উন্নত করতে সিস্টেম মালিকের অনুমতি এবং জ্ঞান নিয়ে করা হয়। অপরদিকে, অনৈতিক হ্যাকিং করা হয় অনুমতি ছাড়া এবং দূষিত উদ্দেশ্যে। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে হ্যাকিং যখন নৈতিক এবং অনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি সর্বদা নৈতিক ও আইনানুগভাবে কাজ করা এবং অন্যদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাকিং বলতে সাধারণত কম্...

Termux Beginner to Advance Guidelines

  যারা এখনো টারমাক্স সম্পর্কে জানেন বা প্রশ্ন আছে টারমাক্স ইন্সটল করার পর কি করবো? তাদের জন্য পোস্ট টি। প্রথমত, টারমাক্স ইন্সটল করেই কারো আইডি হ্যাক করা বা হ্যাকার হয়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দেন। আগে শেখার উপর ফোকাস করেন। এখন আসি টারমাক্স এর ব্যাপারে, টারমাক্স সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে প্রথমে লিনাক্স সম্পর্কে জানতে হবে। লিনাক্স কি? লিনাক্স আসলে কোন অপারেটিং সিস্টেম নয়, এটি মূলত একটি কার্নেল—বলতে পারেন, যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের এটি হার্ট, কেনোনা কার্নেল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করে। যদি সহজ ভাষায় বলতে চেষ্টা করি, অবশ্যই লিনাক্স উইন্ডোজের মতোই একটি কমপ্লিট সিস্টেম, যেটার সাহায্যে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। তবে টেকনিক্যালি এটি উইন্ডোজ থেকেও বেশি কিছু। লিনাক্সকে একটি ইঞ্জিন বলতে পারেন, যেটি আলাদা অনেক অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য পাওয়ার প্রদান করে থাকে।  লিনাক্সের উপর তৈরি অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে ডিস্ট্রিবিউশন বা সংক্ষেপে ডিস্ট্রো বলা হয়, যেমন- উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, রেড হ্যাট, ফেডোরা, ইত্যাদি। বর্তমানে হ্যাকারদের বহুল ব্যাবহৃত Kali...

হালাল উপার্জন ?

  ইসলামী শিক্ষায়, হালাল উপার্জন বলতে এমন আয় বোঝায় যা হালাল উপায়ে এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে অর্জিত হয় যা ইসলামী আইন বা শরীয়াহ অনুসারে অনুমোদিত। মুসলমানদের জন্য হালাল উপার্জন করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ইসলাম প্রচার করে এমন নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। হালাল উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. একটি বৈধ ব্যবসা বা পেশা থেকে উপার্জন: এর মধ্যে রয়েছে শরীয়াহ অনুযায়ী বৈধ বাণিজ্য, বিক্রয় বা ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত আয়। 2. কর্মসংস্থান থেকে আয়: কর্মসংস্থান থেকে উপার্জন যেখানে সম্পাদিত কাজ ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থী নয় বা কোনো বেআইনি কার্যকলাপ জড়িত। 3. হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগ: ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবসা বা কোম্পানিতে বিনিয়োগ থেকে আয়। 4. উত্তরাধিকার: বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত উত্তরাধিকার হালাল উপার্জন হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, হারাম উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. সুদ-ভিত্তিক আয়: সুদ বা সুদ-ভিত্তিক উপার্জন ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। 2. অবৈধ বা অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে উপার্জন: জুয়া, ঘুষ বা অন্যান্য অনৈতিক উপায়ের মত অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে ...