Skip to main content

কার্ডিং বা ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং কি?

 



আজ আমি কার্ডিং বা ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং নিয়ে বেসিক আলোচনা করবো।



কার্ডিং কিঃ 


নরমালি বুঝতে পারছেন এটি কার্ড এর সাথে সম্পর্কিত। সাধারণত ক্রেডিট কার্ড এর ইনফর্মেশন হ্যাক করা কার্ডিং। শুধু এটাই না কার্ডিং অনেক রকমের হয়। মনে করেন যদি আপনার Coinbase বা বিভিন্ন শপিং সাইটের ইউজার পেমেন্ট ডাটাবেজে বা অন্য কোন অনলাইন অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস পেতে পারি সেটাও কার্ডিং।


তবে কার্ডিং যে ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হয় তার একটি উদাহরণ হলো কম দামে কোন প্রোডাক্ট কেনা বা ফ্রি কেনা। বাস্তব উদাহরণ হিসেবে মনে করুন আমি অনলাইন শপ থেকে একটি 5 ডলারের গিফট কার্ড কিনব। সাধারণ ভাবে এটার জন্য আমাকে 6 ডলার পে করতে হবে।


কিন্তু আমি কার্ডিং এর মাধ্যমে 1/2 বা 0 ডলারে আমার পেপাল থেকে পে করব এবং গিফট কার্ডটি কিনতে পারব। এই পদ্ধতিকে Html Injection বলা হয়ে থাকে।


অনেকে হয়তো বিশ্বাস করতে পারছেন না। আপনি যদি কখনো dark web এর অনলাইন গিফট কার্ড শপে ভিজিট করে থাকেন তাহলে আপনি দেখবেন ওখানে গিফট কার্ড গুলোর মূল্য নরমালি শপের থেকে অনেক কম। কারণ এগুলো কার্ডিং এর মাধ্যমে হ্যাক করে পরে বিক্রি করে। গুগল এ সার্চ করে আরো জানতে পারবেন।



কার্ডিং করার রিস্কঃ


কার্ডিং একটি খুবই মারাত্মক অপরাধ। যদিও সকল হ্যাকিং অপরাধ। এই কার্ডিং শিখে রাখতে পারেন কিন্তু প্রোপার সেফটি বাদে ট্রাই করা উচিৎ না। ভিপিএন কানেক্ট করে যদি মনে করেন আপনি সেফ তাহলে আপনি অনেক বিপদে পরবেন। এটা নিয়ে অন্য কোন দিন লিখব। যারা ট্রাই করতে চান তারা অবশ্যই বাংলাদেশের ওয়েবসাইটের কথা ভাববেনও না,অন্য দেশের ওয়েবসাইটে ট্রাই করতে পারেন নিজের সেফটি নিয়ে। সুতরাং বুঝে কাজ করবেন।



কার্ডিং মেথডঃ 


কার্ডিং হ্যাকিং এর একটি ক্যাটাগরি। এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ করতে আপনি কোন হ্যাকিং টেকনিক বা মেথড ব্যবহার করবেন এটি ওয়েবসাইটের দূরর্বলতার উপর নির্ভর করবে। Sqli,Html injection, xss,csrf

যেকোন পদ্ধতি হতে পারে।



sqli:

এই পদ্ধতিতে আমরা ক্রেডিট কার্ড এর ইনফরমেশন পেতে পারি।



xss/csrf: 

এই পদ্ধতিতে একটা মডিফাইড লিংক বা যাকে বলে ফেইক পেমেন্ট ডিফেসমেন্ট দিয়ে ভিজিটরদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা যেতে পারে।



Html injection : 

এই পদ্ধতির কথা এর পরের পোস্টে আলোচনা করবো। প্রাইজ ভ্যালু পরিবর্তন করা যায় এবং ফেইক পেমেন্ট ডিফেসমেন্ট করে।


এছাড়াও অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। আপনার এবং ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করে কোনটা ব্যবহার করবেন।



ব্লাক হ্যাট হ্যাকিং এর মধ্যে কার্ডিং অন্যতম।সাধারণত আমরা ওয়েবসাইট হ্যাক করে ডিফেস দিয়ে থাকি এটাও ব্লাক হ্যাট হ্যাকিং। কিন্তু হোম ডিফেস না করলে ওয়েবসাইটের মালিক কেয়ার করে না।তাই সাধারণত লিগাল কোন প্রবলেম হয় না।কিন্তু কার্ডিং ব্যাক্তি মালিকানায় হস্তক্ষেপ করার সামিল তাই আপনাকে ডিটেক্ট করা মাত্রই আপনার বিপক্ষে লিগাল অ্যাকশান নিবে।এই রকম আর একটা ব্লাক হ্যাট হ্যাকিং পদ্ধতি আছে যা কার্ডিং এর থেকেও বেশি মারাত্মক এবং আপনি বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশের কারো উপর এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে এবং ডিটেক্ট হলে শুধু জেল না আরো অনেক কিছু হতে পারে। এই পদ্ধতির নাম হলো ডক্সিং যেটা হলো মোস্ট এ্যাডভান্স পদ্ধতি।



Doxing ব্যাবহার করতে পারলে আপনি কারো ডিভাইসের সম্পুর্ন কন্ট্রোল নিতে পারবেন।যা দ্বারা আপনি নিদিষ্ট কোন ব্যাক্তির গ্যালারির ছবি,ফোনবুকের সকল নাম্বার,আইপি,লোকেশন, imei নাম্বার,মেইল সহ সকল কিছুই করতে পারবেন।সহজ এবং বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বোঝায়।খবরে আপনি শুনে থাকবেন যে আমেরিকার অমোক পলিটিশিয়ানের মেইন ফাস হয়েছে।অথবা কোন celebrity এর কোন স্ক্যান্ডাল ফাস হয়েছে। এগুলো Doxing এর উদাহরণ। তবে হ্যাকাররা বিটকয়েন বা বড় অংকের টাকার জন্য এবং সেনসিটিভ ডাটা হ্যাক করার জন্য Doxing করে।অনেকে ভাবছেন এটাতো অনেক সহজ rat বা spyware সফটওয়্যার দিয়ে যে কোন মানুষ করতে পারে।হ্যা ওটা সম্ভব কিন্তু এই ক্ষেত্রে ভিক্টিমকে এই অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। Doxing এ এটির প্রোয়োজন নেই।ভিক্টিমের অজান্তেই হ্যাকার অ্যাক্সেস করে। ডক্সিং এটাক সমন্ধে আমি "আমি নিখোজ" আইডি থেকে পোষ্ট করেছিলাম আমার কাজের এক্সপেরিয়েন্স থেকে এবং ওখানে আমি আমার ডক্সিং এ্যাটাক এর সফলতার দিকটা সহ কার্যবিধি কিভাবে কাজ করে কোন কোন বিষয় মাথায় রেখে কি ভাবে কি ইউজ করে এ্যাটাক করা হয় সব কিছু আলোচনা করেছি ওই পোস্টে । 



বিদ্রঃ আর ডক্সিং সমন্ধে গুগলে সার্চ করে কোনো লাভ নাই। কারন এটার বেসিক সুধু কাকে বলে এতোটুকুই পাবেন, ডিপলি বা বেকেন্ডের তথ্য কোথাও পাবেন না। 


যদিও ডক্সিং এ্যাটক ২ ধরনের:


১) রেন্ডম এ্যাটাক

২)সিঙ্গেল এটাক


কষ্টো করে এতোটুকু পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং আমার লেখায় কোনো বানান ভুল হয়ে থাকলে নিজ দাইত্বে ক্ষমা করে সঠিক করে পরে নিবেন।

Comments

Popular posts from this blog

What is hacking? হ্যাকিং কি?

  হ্যাকিং বলতে একটি কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে অননুমোদিত অ্যাক্সেস লাভের কাজকে বোঝায়। এতে হ্যাকার অ্যাক্সেস করার জন্য অনুমোদিত নয় এমন তথ্য বা সংস্থানগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে সিস্টেমের সুরক্ষার দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করা এবং শোষণ করা জড়িত। হ্যাকিং বিভিন্ন কারণে করা যেতে পারে, যার মধ্যে আর্থিক লাভ, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, অথবা একটি সিস্টেমের নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং উন্নত করা। যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অনুমতি ছাড়া হ্যাকিং অবৈধ এবং এর ফলে ফৌজদারি অভিযোগ, জরিমানা এবং কারাদণ্ড হতে পারে। হ্যাকিং দুই ধরনের: এথিক্যাল হ্যাকিং এবং অনৈতিক হ্যাকিং। এথিক্যাল হ্যাকিং, যা পেনিট্রেশন টেস্টিং নামেও পরিচিত, দুর্বলতা শনাক্ত করতে এবং নিরাপত্তা উন্নত করতে সিস্টেম মালিকের অনুমতি এবং জ্ঞান নিয়ে করা হয়। অপরদিকে, অনৈতিক হ্যাকিং করা হয় অনুমতি ছাড়া এবং দূষিত উদ্দেশ্যে। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে হ্যাকিং যখন নৈতিক এবং অনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি সর্বদা নৈতিক ও আইনানুগভাবে কাজ করা এবং অন্যদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাকিং বলতে সাধারণত কম্...

Termux Beginner to Advance Guidelines

  যারা এখনো টারমাক্স সম্পর্কে জানেন বা প্রশ্ন আছে টারমাক্স ইন্সটল করার পর কি করবো? তাদের জন্য পোস্ট টি। প্রথমত, টারমাক্স ইন্সটল করেই কারো আইডি হ্যাক করা বা হ্যাকার হয়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দেন। আগে শেখার উপর ফোকাস করেন। এখন আসি টারমাক্স এর ব্যাপারে, টারমাক্স সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে প্রথমে লিনাক্স সম্পর্কে জানতে হবে। লিনাক্স কি? লিনাক্স আসলে কোন অপারেটিং সিস্টেম নয়, এটি মূলত একটি কার্নেল—বলতে পারেন, যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের এটি হার্ট, কেনোনা কার্নেল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করে। যদি সহজ ভাষায় বলতে চেষ্টা করি, অবশ্যই লিনাক্স উইন্ডোজের মতোই একটি কমপ্লিট সিস্টেম, যেটার সাহায্যে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। তবে টেকনিক্যালি এটি উইন্ডোজ থেকেও বেশি কিছু। লিনাক্সকে একটি ইঞ্জিন বলতে পারেন, যেটি আলাদা অনেক অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য পাওয়ার প্রদান করে থাকে।  লিনাক্সের উপর তৈরি অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে ডিস্ট্রিবিউশন বা সংক্ষেপে ডিস্ট্রো বলা হয়, যেমন- উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, রেড হ্যাট, ফেডোরা, ইত্যাদি। বর্তমানে হ্যাকারদের বহুল ব্যাবহৃত Kali...

হালাল উপার্জন ?

  ইসলামী শিক্ষায়, হালাল উপার্জন বলতে এমন আয় বোঝায় যা হালাল উপায়ে এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে অর্জিত হয় যা ইসলামী আইন বা শরীয়াহ অনুসারে অনুমোদিত। মুসলমানদের জন্য হালাল উপার্জন করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ইসলাম প্রচার করে এমন নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। হালাল উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. একটি বৈধ ব্যবসা বা পেশা থেকে উপার্জন: এর মধ্যে রয়েছে শরীয়াহ অনুযায়ী বৈধ বাণিজ্য, বিক্রয় বা ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত আয়। 2. কর্মসংস্থান থেকে আয়: কর্মসংস্থান থেকে উপার্জন যেখানে সম্পাদিত কাজ ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থী নয় বা কোনো বেআইনি কার্যকলাপ জড়িত। 3. হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগ: ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবসা বা কোম্পানিতে বিনিয়োগ থেকে আয়। 4. উত্তরাধিকার: বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত উত্তরাধিকার হালাল উপার্জন হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, হারাম উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. সুদ-ভিত্তিক আয়: সুদ বা সুদ-ভিত্তিক উপার্জন ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। 2. অবৈধ বা অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে উপার্জন: জুয়া, ঘুষ বা অন্যান্য অনৈতিক উপায়ের মত অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে ...