Skip to main content

What is Malware? যা আপনার ডিভাইসের ক্ষতিসাধন করে থাকে

 


What is Malware? 🤔


ম্যালওয়্যার (Malware) হলো ‘Malicious Software’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ৷ ‘Malicious’ অর্থ দূষিত বা ক্ষতিকর। অর্থাৎ ‘Malicious Software’ হলো দূষিত বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার। যা আপনার ডিভাইসের ক্ষতিসাধন করে থাকে।


 


ম্যালওয়্যার এমন এক ধরনের সফটওয়্যার প্রোগ্রাম, যা আপনার কম্পিউটার, মোবাইল বা অন্য কোনো ডিভাইসে আপনার অনুমতি ছাড়াই তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারে। সেই কার্যক্রম হতে পারে আপনার গোপন তথ্য চুরি করা, আপনার উপর নজরদারি করা, আপনার ডিভাইসের কার্যক্ষমতা হ্রাস করা বা আপনার ডিভাইসে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সব ডাটা সমূহের ক্ষতিসাধন করা। সহজ ভাষায় ম্যালওয়্যার একটি ক্ষতিকর সফটওয়্যার।


 


ম্যালওয়্যারের প্রকারভেদ

 


ম্যালওয়্যার মূলত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে৷ তবে আমরা সচরাচর যে ম্যালওয়্যারগুলোর সম্মুখীন হয়ে থাকি সেগুলো হলো- ভাইরাস, ট্রোজন, র্যানসমওয়্যার, স্পাইওয়্যার, ওয়র্মস ইত্যাদি। এগুলো সম্পর্কে নিচে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো –


 


১. ভাইরাস:

 


ভাইরাস মূলত আপনার ডিভাইসে পেরালাইজড অবস্থায় থাকে। আপনি যখনি ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো প্রোগ্রাম রান করবেন তখনি এটি এক্টিভ হয়ে যাবে এবং নিজে নিজেই কাজ করা শুরু করবে। এটি মূলত নিজের প্রতিরূপ তৈরি করে ডিভাইসে থাকা অন্যান্য ডাটাসমূহকে অকেজো করে দিতে পারে।


 


২. ট্রোজন:

 


ট্রোজন মূলত অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে ছদ্মবেশে আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে। এটি এমন এক ধরনের ম্যালওয়্যার, যা আপনার কাছে অত্যন্ত কার্যকরী, সুসংবদ্ধ ও আকর্ষণীয় রূপে নিজেকে উপস্থাপন করবে। আর আপনিও আপ্লুত হয়ে প্রোগ্রামটি ইন্সটল করে ফেলবেন। এই ট্রোজন ম্যালওয়্যারগুলো আপনার ডিভাইসে থাকা ডাটাসমূহকে ডিলিট, এডিট, মডিফাই করতে সক্ষম। এমনকি এটি আপনার ব্রাউজারে থাকা যাবতীয় পাসওয়ার্ডও চুরি করার ক্ষমতা রাখে।


 


৩. র‍্যানসমওয়্যার:

 


র‍্যানসমওয়্যার এমন এক ধরনের ম্যালওয়্যার ভাইরাস, যা আপনার কম্পিউটার ডিভাইসকে আক্রমন করে কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে থাকা সবগুলো ফাইলকে এনক্রিপ্ট অর্থাৎ লক করে দিবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ম্যালওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারের সকল ফাইলকে এত বড় কী (Key) দিয়ে লক করে ফেলবে যে, তা প্রযুক্তিগতভাবে আনলক করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

Comments

Popular posts from this blog

What is hacking? হ্যাকিং কি?

  হ্যাকিং বলতে একটি কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে অননুমোদিত অ্যাক্সেস লাভের কাজকে বোঝায়। এতে হ্যাকার অ্যাক্সেস করার জন্য অনুমোদিত নয় এমন তথ্য বা সংস্থানগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে সিস্টেমের সুরক্ষার দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করা এবং শোষণ করা জড়িত। হ্যাকিং বিভিন্ন কারণে করা যেতে পারে, যার মধ্যে আর্থিক লাভ, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, অথবা একটি সিস্টেমের নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং উন্নত করা। যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অনুমতি ছাড়া হ্যাকিং অবৈধ এবং এর ফলে ফৌজদারি অভিযোগ, জরিমানা এবং কারাদণ্ড হতে পারে। হ্যাকিং দুই ধরনের: এথিক্যাল হ্যাকিং এবং অনৈতিক হ্যাকিং। এথিক্যাল হ্যাকিং, যা পেনিট্রেশন টেস্টিং নামেও পরিচিত, দুর্বলতা শনাক্ত করতে এবং নিরাপত্তা উন্নত করতে সিস্টেম মালিকের অনুমতি এবং জ্ঞান নিয়ে করা হয়। অপরদিকে, অনৈতিক হ্যাকিং করা হয় অনুমতি ছাড়া এবং দূষিত উদ্দেশ্যে। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে হ্যাকিং যখন নৈতিক এবং অনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি সর্বদা নৈতিক ও আইনানুগভাবে কাজ করা এবং অন্যদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাকিং বলতে সাধারণত কম্...

Termux Beginner to Advance Guidelines

  যারা এখনো টারমাক্স সম্পর্কে জানেন বা প্রশ্ন আছে টারমাক্স ইন্সটল করার পর কি করবো? তাদের জন্য পোস্ট টি। প্রথমত, টারমাক্স ইন্সটল করেই কারো আইডি হ্যাক করা বা হ্যাকার হয়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দেন। আগে শেখার উপর ফোকাস করেন। এখন আসি টারমাক্স এর ব্যাপারে, টারমাক্স সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে প্রথমে লিনাক্স সম্পর্কে জানতে হবে। লিনাক্স কি? লিনাক্স আসলে কোন অপারেটিং সিস্টেম নয়, এটি মূলত একটি কার্নেল—বলতে পারেন, যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের এটি হার্ট, কেনোনা কার্নেল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করে। যদি সহজ ভাষায় বলতে চেষ্টা করি, অবশ্যই লিনাক্স উইন্ডোজের মতোই একটি কমপ্লিট সিস্টেম, যেটার সাহায্যে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। তবে টেকনিক্যালি এটি উইন্ডোজ থেকেও বেশি কিছু। লিনাক্সকে একটি ইঞ্জিন বলতে পারেন, যেটি আলাদা অনেক অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য পাওয়ার প্রদান করে থাকে।  লিনাক্সের উপর তৈরি অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে ডিস্ট্রিবিউশন বা সংক্ষেপে ডিস্ট্রো বলা হয়, যেমন- উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, রেড হ্যাট, ফেডোরা, ইত্যাদি। বর্তমানে হ্যাকারদের বহুল ব্যাবহৃত Kali...

হালাল উপার্জন ?

  ইসলামী শিক্ষায়, হালাল উপার্জন বলতে এমন আয় বোঝায় যা হালাল উপায়ে এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে অর্জিত হয় যা ইসলামী আইন বা শরীয়াহ অনুসারে অনুমোদিত। মুসলমানদের জন্য হালাল উপার্জন করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ইসলাম প্রচার করে এমন নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। হালাল উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. একটি বৈধ ব্যবসা বা পেশা থেকে উপার্জন: এর মধ্যে রয়েছে শরীয়াহ অনুযায়ী বৈধ বাণিজ্য, বিক্রয় বা ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত আয়। 2. কর্মসংস্থান থেকে আয়: কর্মসংস্থান থেকে উপার্জন যেখানে সম্পাদিত কাজ ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থী নয় বা কোনো বেআইনি কার্যকলাপ জড়িত। 3. হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগ: ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবসা বা কোম্পানিতে বিনিয়োগ থেকে আয়। 4. উত্তরাধিকার: বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত উত্তরাধিকার হালাল উপার্জন হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, হারাম উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. সুদ-ভিত্তিক আয়: সুদ বা সুদ-ভিত্তিক উপার্জন ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। 2. অবৈধ বা অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে উপার্জন: জুয়া, ঘুষ বা অন্যান্য অনৈতিক উপায়ের মত অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে ...