Skip to main content

লিনাক্সের ইতিহাস (History Of LINUX)



লিনাক্সের ইতিহাস  (History Of LINUX)

১৯৮৩ সালে রিচার্ড স্টলম্যানগনু প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন। গনু প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল পুরোপুরি বিনামূল্যের সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। ৯০-য়ের দশকের শুরুর দিকেই গনু এই অপারেটিং সিস্টেমের প্রায় সমস্ত দরকারি উপাদানগুলো বানাতে বা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন কোড লাইব্রেরি, কম্পাইলার, টেক্সট সম্পাদক (টেক্সট এডিটর), একটি ইউনিক্স-সদৃশ খোলস (শেল), এবং আরও অন্যান্য সফটওয়্যার। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তখনও বাকি ছিল, আর তা হল কার্নেল - অপারেটিং সিস্টেমটির নিম্নতম স্তরের উপাদান বা ভিত্তি।

১৯৯০ সালে গনু প্রকল্প তাদের নিজস্ব কার্নেল গনু হার্ড-এর ওপর কাজ শুরু করে। হার্ড-এর প্রাথমিক পরিকল্পক টমাস বুশনেলের কথানুযায়ী গনুর প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল বিএসডি ৪.৪-লাইট কার্নেলটি তাদের কাজের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা। পেছনের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেছেন, “এখন আমি নিশ্চিত যে এ-পরিকল্পনাটি দারুণভাবে সফল হত, আর বিশ্বকে তখন খুবই ভিন্ন দেখাত।” কিন্তু বার্কলির প্রোগ্রামারদের মধ্যে সহযোগিতার ঘাটতি দেখে স্টলম্যান হার্ড প্রকল্পের জন্য মাখ মাইক্রোকার্নেল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরে দেখা যায় এটির ব্যবহার আশাতীতভাবে কষ্টসাধ্য, ফলে হার্ডের উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে এগোতে থাকে।

প্রায় কাছাকাছি সময়ে, ১৯৯১ সালে, লিনুস তোরভাল্দ্‌স নামের এক ফিনীয় ছাত্র ইউনিভার্সিটি অফ হেলসিংকি-তে পাঠরত অবস্থায় শখের বশে আরেকটি কার্নেলের ওপর কাজ শুরু করেন। এই কার্নেলটিই পরে লিনাক্স কার্নেলে রূপ নেয়। লিনুস প্রথমদিকে মিনিক্স নামের একটি সরলীকৃত ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করেন। মিনিক্সের রচয়িতা ছিলেন এন্ড্রু টানেনবম, এক প্রখ্যাত অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন প্রশিক্ষক। তবে টানেনবম তাঁর মিনিক্স সিস্টেমের ওপর সরাসরি কাজ করে উন্নতিসাধনের অনুমতি দিতেন না। ফলে লিনুসকে মিনিক্সের সমতুল্য একটি সিস্টেম বানাতে হয়। লিনুস প্রথমে আইএ-৩২ এসেম্বলার ও সি-এর সাহায্যে একটি টার্মিনাল এমুলেটর রচনা করেন ও এটিকে কম্পাইল করে বাইনারি আকারে রূপান্তরিত করেন, যাতে এটি যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের বাইরে ফ্লপি ডিস্ক থেকে বুট করে চালানো যায়। টার্মিনাল এমুলেটরটিতে একসাথে দুইটি থ্রেড চলত। একটি থ্রেড ছিল সিরিয়াল পোর্ট থেকে ক্যারেক্টার পড়ার জন্য, আর অন্যটি ছিল পোর্টে ক্যারেক্টার পাঠানোর জন্য। যখন লিনুসের ডিস্ক থেকে ফাইল পড়া ও লেখার প্রয়োজন পড়ল, তখন তিনি এই এমুলেটরটির সাথে একটি সম্পূর্ণ ফাইলসিস্টেমহ্যান্ডলার যোগ করেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি এটিকে একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম কার্নেলে রূপ দেন, যাতে এটিকে পজিক্স-অনুগামী সিস্টেমসমূহের ভিত্তিরূপে ব্যবহার করা যায়। লিনাক্স কার্নেলের প্রথম সংস্করণ (০.০.১) ইন্টারনেটে প্রকাশ পায় ১৯৯১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর। কিছুদিন পরেই ১৯৯১-এর অক্টোবরে এর দ্বিতীয় সংস্করণটি বের হয়। তখন থেকে সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার ডেভেলপার লিনাক্সের এই প্রজেক্টে অংশ নিয়েছেন। এরিক রেমন্ড-এর লেখা প্রবন্ধ The Cathedral and the Bazaar-এ লিনাক্স কার্নেলের (ও অন্যান্য সমজাতীয় সফটওয়্যারের) উন্নয়নপ্রক্রিয়ার মডেল সম্পর্কে আলচনা করা হয়েছে।

লিনাক্সের ০.০১ সংস্করণে লিনুস যথেষ্টসংখ্যক পজিক্স সিস্টেম কল বাস্তবায়ন করেন যাতে লিনাক্স গনু’র ব্যাশ শেল চালাতে পারে। এই বুটস্ট্র্যাপিং প্রক্রিয়াটির বাস্তবায়ন লিনাক্সের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। প্রথমদিকে লিনাক্স সংস্থাপন (install), গঠন-প্রকৃতি নির্ধারণ (configure) ও সংকলন (compile) করার জন্য মিনিক্স-চালিত কম্পিউটারের প্রয়োজন হত। এছাড়া লিনাক্সের প্রাথমিক সংস্করণগুলোকে হার্ড ডিস্ক থেকে বুট করানোর জন্য অপর একটি অপারেটিং সিস্টেমের উপস্থিতির প্রয়োজন হত। তবে শীঘ্রই এ-সমস্যার সমাধান হিসেবে তৈরি করা হয় কিছু আত্মনির্ভরশীল বুটলোডার; এই বুটলোডারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিতটির নাম লিলো। এরপর লিনাক্স উপযোগিতার হিসেবে মিনিক্সকে দ্রুত ছাড়িয়ে যায়। লিনুস ও লিনাক্স কার্নেলের অন্যান্য প্রাথমিক ডেভেলপারেরা কার্নেলের পরিবর্তন সাধন করেন যাতে সেটি গনুর বিভিন্ন উপাদান ও ব্যবহারকারীদের জন্য লেখা প্রোগ্রামগুলোর সাথে কাজ করতে পারে। এভাবে ধীরে ধীরে লিনাক্স গঠন ও উপযোগিতার হিসেবে একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমে রূপ নিতে থাকে।

বর্তমানে লিনাক্স কার্নেলের উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন লিনুস তোরভাল্দ্‌স নিজে, তবে কার্নেলের সহযোগী অন্যান্য ব্যবস্থাগুলো, যেমন গনু উপাদানগুলো, আলাদাভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর লিনাক্স বিতরণকারী বিক্রেতা বা প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান কাজ হচ্ছে এই সবগুলো উপাদান একত্র করে এবং এর সাথে গ্রাফিকাল ইন্টারফেস (যেমন এক্স-উইন্ডো সিস্টেম-ভিত্তিক গনোম বা কেডিই) ও এপ্লিকেশন সফটওয়্যার যোগ করে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিচালক ব্যবস্থা তৈরি করা।

লিনাক্সের ম্যাসকট ও লোগো হচ্ছে টাক্স নামের পেঙ্গুইন। ১৯৯৬ সালে ল্যারি ইউয়িং-এর আঁকা একটি ছবি থেকে টাক্স আঁকার অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে। টাক্স ছাড়াও ওএস-ট্যান ও আরও কিছু লিনাক্স প্রতিনিধিত্বকারী চরিত্র রয়েছে, তবে এগুলো খুব প্রচলিত নয়।

“লিনাক্স” নামটি কিন্ত লিনুস তোরভাল্দ্‌সের দেওয়া নয়। লিনাক্সের নামকরণের কৃতিত্ব আরি লেমকের। লেমকে হেলসিংকি ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজিতেftp.funet.fi নামক একটি এফটিপি সার্ভারের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সার্ভারটি ছিল ফিনীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা নেটওয়ার্ক-এর একটি অংশ, আর এই নেটওয়ার্ক-এর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি ছিল লিনুসের ইউনিভার্সিটি অফ হেলসিংকি। লিনুস যখন তার অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্পটি এই সার্ভারটিতে রক্ষা করার জন্য লেমকে-কে দেন, লেমকে তখন তা একটি ডিরেক্টরিতে রাখেন ও ডিরেক্টরিটির নাম দেন “লিনাক্স”, অর্থাৎ “লিনুসের মিনিক্স” কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ। লিনুস অবশ্য নিজে প্রকল্পটির নাম “ফ্রিক্স” (freax) রাখতে চাচ্ছিলেন, যা ছিল “ফ্রি” (বিনামূল্য) ও ইউনিক্সের শেষ অক্ষর “এক্স”-এর সম্মিলিত রূপ। শেষ পর্যন্ত লেমকের দেয়া লিনাক্স নামটিই টিকে যায়।

Source:wikipedia



 কোনো জিনিসের ইতিহাস থেকেও অসম্ভব পর্যায়ের জ্ঞান পাওয়া যায় । লিনাক্সের ইতিহাস ও আপনাকে নিরাশ করবে না । 

লিনাক্স ১৯৯১ সালে লিনাস ট্রভাল্ডস প্রথম তৈরি করে । লিনাক্সের প্রথম ভার্সন ছিল লিনাক্স ০.০১ । লিনাস ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম থেকে অনুপ্রেরনিত হয়ে তৈরি করেন লিনাক্স । লিনাক্স তৈরি করা হয় সি এবং এসেম্বলি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে । 

লিনাক্সের ৮০% জিনিস তৈরি করা হয় GNU এর মাধ্যেমে । GNU হচ্ছে ইউনিক্স এর মত একটি অপারেটিং সিস্টেম । GNU এর গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস ইউনিক্স এর মতই তাই GNU কে ইউনিক্স এর মত অপারেটিং সিস্টেম বলা হয় । কিন্তু আসলে GNU একদমই ইউনিক্স এর মতন না । GNU তে ব্যাবহৃত সফটওয়্যার গুলো ফ্রী হওয়ায় লিনাক্সে সফটওয়্যার গুলো ব্যাবহার করা হয় । ইউনিক্স এর সফটওয়্যার গুলো ফ্রী না তাই বলে ইউনিক্স ব্যাবহার করা হয় নি । GNU হচ্ছে সফটওয়্যার এর একটি কালেকশন , আপনি যখন লিনাক্স ইনস্টল করবেন তখনই GNU সফটওয়্যার কালেকশন বা প্যাকেজ অটো ইনস্টল হয়ে যায় । 

লিনাক্সের একটি স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ আছে যা ব্যাশ স্ক্রিপ্ট নামে পরিচিত । ব্যাশ স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয় GNU এর জন্য । GNU তে থাকা সমস্ত জিনিস GPL ( Global Public Lisence ) এর অধীনে । GPL লাইসেন্স টি আপনি কোনো সফটওয়্যার বা কোনো প্রোপার্টিতে অ্যাড করলে যে কেও আপনার প্রোগ্রাম টি এডিট এবং কাস্টোমাইজ করতে পারবে । এবং সেটাকে পরবর্তীতে পাবলিশ করতে পারবে কোনো কপিরাইট আইনের আওতায় পড়বে না । তাই GNU এর ব্যাশ স্ক্রিপ্ট ইউনিক্স এবং লিনাক্স ব্যাবহার করছে । 

১৯৯১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম লিনাক্স কার্নেল ব্যাবহৃত প্রথম অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হয় । তার পর থেকে লিনাক্স কার্নেল ব্যাবহার করে আরো অনেক অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করার প্রকল্প বানানো হয় তার মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় ডেবিয়ান । ডেবিয়ান ব্যাবহার করে কালি , ডেবিয়ান , প্যারোট লিনাক্স ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হয় । 

লিনাক্স কার্নেল এতো জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী সুপার কমপিউটারেও লিনাক্স ব্যাবহার করা হয় । লিনাক্স কার্নেল পুরোটাই GPL এর অধীনে , যে কেও লিনাক্স কার্নেল কাস্টোমাইজ এবং এডিট করতে পারবে । 

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কর্নেল দিয়ে তৈরি । লিনাক্স কার্নেল এতো জনপ্রিয় হওয়ার পিছনে অনেক কারণ আছে । এবং লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম গুলোও এখন উইন্ডোজ , ম্যাক এর মত অপারেটিং সিস্টেম কে টেক্কা দিচ্ছে । 

লিনাক্স ইনস্টল করতে হয় , উইন্ডোজ বা ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম এর মত আগে থেকেই সিস্টেম এ ইন্সটল থাকে না বলেই লিনাক্স ব্যাবহারকারীর সংখ্যা উইন্ডোজ বা ম্যাক এর ব্যাবহারকারীর সংখ্যা থেকে কম । 

লিনাক্স কার্নেল দিয়ে প্রায় ৬০০ এর মত অপারেটিং সিস্টেম আজ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে । এবং এখন পর্যন্ত ৫০০ এর মত অপারেটিং সিস্টেম এক্টিভ ডেভলমেন্ট এ আছে । 

লিনাক্সের কার্নেল ব্যাবহার করে তৈরি করা হয়েছে অনেক distro বা ditrobution । যেমন ডেবিয়ান , উবুন্টু , centos , আর্চ ইত্যাদী এবং এই ডিস্ট্রিবিউশন গুলোর সাহায্য নিয়ে বানানো হয়েছে আরো অন্যান্য লিনাক্স কার্নেল ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম । যেমন  Kali Linux , parrot sec , Black Arch ইত্যাদি । আরো একটু ভালো করে বুঝবেন যদি এমন ভাবে বলি কালি , parrot , উবুন্টু ইত্যাদি ডেবিয়ান বেজড , ব্ল্যাক আর্চ আর্চ লিনাক্স বেজড , ঠিক এমনি বিভন্ন অপারেটিং সিস্টেম এর সাহায্য নিয়ে বানানো হয় আরো অনেক অপারেটিং সিস্টেম । সেই জিনিস গুলোই distro । আরো একদফা সাদা মাটা ভাষায় লিনাক্সের সকল অপারেটিং সিস্টেমই distro

উদহারন অনেক রয়েছে । আশা করি distro বা ডিস্ট্রিবিউশন জিনিসটা মাথায় ঢুকেছে ।  


বি দ্রঃ পুরো আর্টিকেলটি আবু হুরাইয়ার লেখা লিনাক্সের নাড়িভুড়ি বইটি থেকে কপি করা 🌺🙂

Comments

Popular posts from this blog

What is hacking? হ্যাকিং কি?

  হ্যাকিং বলতে একটি কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে অননুমোদিত অ্যাক্সেস লাভের কাজকে বোঝায়। এতে হ্যাকার অ্যাক্সেস করার জন্য অনুমোদিত নয় এমন তথ্য বা সংস্থানগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে সিস্টেমের সুরক্ষার দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করা এবং শোষণ করা জড়িত। হ্যাকিং বিভিন্ন কারণে করা যেতে পারে, যার মধ্যে আর্থিক লাভ, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, অথবা একটি সিস্টেমের নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং উন্নত করা। যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অনুমতি ছাড়া হ্যাকিং অবৈধ এবং এর ফলে ফৌজদারি অভিযোগ, জরিমানা এবং কারাদণ্ড হতে পারে। হ্যাকিং দুই ধরনের: এথিক্যাল হ্যাকিং এবং অনৈতিক হ্যাকিং। এথিক্যাল হ্যাকিং, যা পেনিট্রেশন টেস্টিং নামেও পরিচিত, দুর্বলতা শনাক্ত করতে এবং নিরাপত্তা উন্নত করতে সিস্টেম মালিকের অনুমতি এবং জ্ঞান নিয়ে করা হয়। অপরদিকে, অনৈতিক হ্যাকিং করা হয় অনুমতি ছাড়া এবং দূষিত উদ্দেশ্যে। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে হ্যাকিং যখন নৈতিক এবং অনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি সর্বদা নৈতিক ও আইনানুগভাবে কাজ করা এবং অন্যদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাকিং বলতে সাধারণত কম্...

Termux Beginner to Advance Guidelines

  যারা এখনো টারমাক্স সম্পর্কে জানেন বা প্রশ্ন আছে টারমাক্স ইন্সটল করার পর কি করবো? তাদের জন্য পোস্ট টি। প্রথমত, টারমাক্স ইন্সটল করেই কারো আইডি হ্যাক করা বা হ্যাকার হয়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দেন। আগে শেখার উপর ফোকাস করেন। এখন আসি টারমাক্স এর ব্যাপারে, টারমাক্স সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে প্রথমে লিনাক্স সম্পর্কে জানতে হবে। লিনাক্স কি? লিনাক্স আসলে কোন অপারেটিং সিস্টেম নয়, এটি মূলত একটি কার্নেল—বলতে পারেন, যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের এটি হার্ট, কেনোনা কার্নেল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করে। যদি সহজ ভাষায় বলতে চেষ্টা করি, অবশ্যই লিনাক্স উইন্ডোজের মতোই একটি কমপ্লিট সিস্টেম, যেটার সাহায্যে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। তবে টেকনিক্যালি এটি উইন্ডোজ থেকেও বেশি কিছু। লিনাক্সকে একটি ইঞ্জিন বলতে পারেন, যেটি আলাদা অনেক অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য পাওয়ার প্রদান করে থাকে।  লিনাক্সের উপর তৈরি অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে ডিস্ট্রিবিউশন বা সংক্ষেপে ডিস্ট্রো বলা হয়, যেমন- উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, রেড হ্যাট, ফেডোরা, ইত্যাদি। বর্তমানে হ্যাকারদের বহুল ব্যাবহৃত Kali...

হালাল উপার্জন ?

  ইসলামী শিক্ষায়, হালাল উপার্জন বলতে এমন আয় বোঝায় যা হালাল উপায়ে এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে অর্জিত হয় যা ইসলামী আইন বা শরীয়াহ অনুসারে অনুমোদিত। মুসলমানদের জন্য হালাল উপার্জন করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ইসলাম প্রচার করে এমন নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। হালাল উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. একটি বৈধ ব্যবসা বা পেশা থেকে উপার্জন: এর মধ্যে রয়েছে শরীয়াহ অনুযায়ী বৈধ বাণিজ্য, বিক্রয় বা ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত আয়। 2. কর্মসংস্থান থেকে আয়: কর্মসংস্থান থেকে উপার্জন যেখানে সম্পাদিত কাজ ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থী নয় বা কোনো বেআইনি কার্যকলাপ জড়িত। 3. হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগ: ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবসা বা কোম্পানিতে বিনিয়োগ থেকে আয়। 4. উত্তরাধিকার: বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত উত্তরাধিকার হালাল উপার্জন হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, হারাম উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. সুদ-ভিত্তিক আয়: সুদ বা সুদ-ভিত্তিক উপার্জন ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। 2. অবৈধ বা অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে উপার্জন: জুয়া, ঘুষ বা অন্যান্য অনৈতিক উপায়ের মত অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে ...