Skip to main content

হ্যাশ (Hash) কী? পাসওয়ার্ড হ্যাশিং কি?

 




আজকে জানবো পাসওয়ার্ড হ্যাশিং কিভাবে কাজ করে - 



হ্যাশ (Hash) কী?


ক্রিপ্টোগ্রাফির গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে হ্যাশ।


হ্যাশ হচ্ছে কোনো ডাটার এনক্রিপ্টেড স্ট্রিং ডাটা।আর কোনো ডাটাকে এনক্রিপ্ট করে হ্যাশে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে হ্যাশিং(Hashing) বলা হয়।


হ্যাশ ডিক্রিপ্ট করার কোনো কৌশল নেই।কারণ হ্যাশিং করা এনক্রিপ্টেড ডাটা তথা হ্যাশকে মূল ডাটায় রূপান্তর করার কোনো key নেই।এক কথায়,কোনো কোনো ডাটাকে হ্যাশে এনক্রিপ্ট করা যায়,তবে ডিক্রিপ্ট করে মূল ডাটায় রূপান্তর করা যায় না।হ্যাশিংয়ের মাধ্যমে গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য,পাসওয়ার্ড,ক্রেডিট কার্ড নম্বর,সংবেদনশীল তথ্য ইত্যাদি এনক্রিপ্ট করা হয় যাতে কেউ তা সহজে বের করতে না পারে।বিভিন্ন প্রকার হ্যাশিং মেথডের মধ্যে MD4,MD5,SHA-1,SHA-2 ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।


উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,আমার নাম "Nehal" এই শব্দটিকে যেকোনো একটি হ্যাশিং মেথডে এনক্রিপ্ট করতে চাই।আমি MD5 ব্যবহার করে এটিকে এনক্রিপ্ট করলে হবে 2ad03abbcd710b8fd8de4f8907c5171c এখানে 2ad03abbcd710b8fd8de4f8907c5171c এটি হলো হ্যাশ আর Nehal শব্দটি হলো মূল ডাটা।কোনো হ্যাশ অনেকগুলো সংখ্যা এবং ইংরেজি অক্ষরের সমন্বয়ে গঠিত হয়,যেটা আমরা উপরের হ্যাশের ক্ষেত্রেও দেখলাম।



পাসওয়ার্ড হ্যাশিং! পাসওয়ার্ড হ্যাশিং কিন্তু পাসওয়ার্ড হ্যাকিং না ! আপনি কি জানেন গুগল কিন্তু আপনার জিমেইল আইডির পাসওয়ার্ড জানে না!


২০২০ সালে এসে ডাটা ব্রিচিং মোটেও আর কোন সাইন্স-ফিকশন ব্যাপার নয়। প্রায় প্রতিনিয়তই হ্যাকাররা নানান কোম্পানির ডাটাবেজ গুলো হ্যাক করে বেড়াচ্ছে। আবার এদের মধ্যে বড় বড় কোম্পানির নাম গুলো কিন্তু শামিল রয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইয়াহু প্রত্যেকেই কিন্তু হ্যাকের শিকার হচ্ছে।


আর যেহেতু কম্পিউটার সিকিউরিটির ধর্মই এরকম যে ১০০% কোন কিছুই নিরাপদ নয়, সুতরাং হ্যাক অ্যাটাক তো হবেই, সেটা যত বড়ই কোম্পানি হোক না কেন। কিন্তু এখানে একটা স্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে; গুগোল, ইউটিউব, ফেইসবুক, ইয়াহু যাদের ই ডাটাবেজ হ্যাক হোক না কেন, সেই ডাটাবেজ থেকে কিন্তু সরাসরি হ্যাকাররা আপনার পাসওয়ার্ড খুঁজে পায় না। কেননা আপনার পাসওয়ার্ড কি সেটা গুগল, ইয়াহু, ফেসবুক, বা কেউই জানে না বা স্টোর করে রাখে না!


ধন্যবাদ সবাইকে।

Comments

Popular posts from this blog

What is hacking? হ্যাকিং কি?

  হ্যাকিং বলতে একটি কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে অননুমোদিত অ্যাক্সেস লাভের কাজকে বোঝায়। এতে হ্যাকার অ্যাক্সেস করার জন্য অনুমোদিত নয় এমন তথ্য বা সংস্থানগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে সিস্টেমের সুরক্ষার দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করা এবং শোষণ করা জড়িত। হ্যাকিং বিভিন্ন কারণে করা যেতে পারে, যার মধ্যে আর্থিক লাভ, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, অথবা একটি সিস্টেমের নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং উন্নত করা। যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অনুমতি ছাড়া হ্যাকিং অবৈধ এবং এর ফলে ফৌজদারি অভিযোগ, জরিমানা এবং কারাদণ্ড হতে পারে। হ্যাকিং দুই ধরনের: এথিক্যাল হ্যাকিং এবং অনৈতিক হ্যাকিং। এথিক্যাল হ্যাকিং, যা পেনিট্রেশন টেস্টিং নামেও পরিচিত, দুর্বলতা শনাক্ত করতে এবং নিরাপত্তা উন্নত করতে সিস্টেম মালিকের অনুমতি এবং জ্ঞান নিয়ে করা হয়। অপরদিকে, অনৈতিক হ্যাকিং করা হয় অনুমতি ছাড়া এবং দূষিত উদ্দেশ্যে। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে হ্যাকিং যখন নৈতিক এবং অনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি সর্বদা নৈতিক ও আইনানুগভাবে কাজ করা এবং অন্যদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাকিং বলতে সাধারণত কম্...

Termux Beginner to Advance Guidelines

  যারা এখনো টারমাক্স সম্পর্কে জানেন বা প্রশ্ন আছে টারমাক্স ইন্সটল করার পর কি করবো? তাদের জন্য পোস্ট টি। প্রথমত, টারমাক্স ইন্সটল করেই কারো আইডি হ্যাক করা বা হ্যাকার হয়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দেন। আগে শেখার উপর ফোকাস করেন। এখন আসি টারমাক্স এর ব্যাপারে, টারমাক্স সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে প্রথমে লিনাক্স সম্পর্কে জানতে হবে। লিনাক্স কি? লিনাক্স আসলে কোন অপারেটিং সিস্টেম নয়, এটি মূলত একটি কার্নেল—বলতে পারেন, যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের এটি হার্ট, কেনোনা কার্নেল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করে। যদি সহজ ভাষায় বলতে চেষ্টা করি, অবশ্যই লিনাক্স উইন্ডোজের মতোই একটি কমপ্লিট সিস্টেম, যেটার সাহায্যে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। তবে টেকনিক্যালি এটি উইন্ডোজ থেকেও বেশি কিছু। লিনাক্সকে একটি ইঞ্জিন বলতে পারেন, যেটি আলাদা অনেক অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য পাওয়ার প্রদান করে থাকে।  লিনাক্সের উপর তৈরি অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে ডিস্ট্রিবিউশন বা সংক্ষেপে ডিস্ট্রো বলা হয়, যেমন- উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, রেড হ্যাট, ফেডোরা, ইত্যাদি। বর্তমানে হ্যাকারদের বহুল ব্যাবহৃত Kali...

হালাল উপার্জন ?

  ইসলামী শিক্ষায়, হালাল উপার্জন বলতে এমন আয় বোঝায় যা হালাল উপায়ে এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে অর্জিত হয় যা ইসলামী আইন বা শরীয়াহ অনুসারে অনুমোদিত। মুসলমানদের জন্য হালাল উপার্জন করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ইসলাম প্রচার করে এমন নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। হালাল উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. একটি বৈধ ব্যবসা বা পেশা থেকে উপার্জন: এর মধ্যে রয়েছে শরীয়াহ অনুযায়ী বৈধ বাণিজ্য, বিক্রয় বা ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত আয়। 2. কর্মসংস্থান থেকে আয়: কর্মসংস্থান থেকে উপার্জন যেখানে সম্পাদিত কাজ ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থী নয় বা কোনো বেআইনি কার্যকলাপ জড়িত। 3. হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগ: ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবসা বা কোম্পানিতে বিনিয়োগ থেকে আয়। 4. উত্তরাধিকার: বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত উত্তরাধিকার হালাল উপার্জন হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, হারাম উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. সুদ-ভিত্তিক আয়: সুদ বা সুদ-ভিত্তিক উপার্জন ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। 2. অবৈধ বা অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে উপার্জন: জুয়া, ঘুষ বা অন্যান্য অনৈতিক উপায়ের মত অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে ...