ব্লকচেইন কি ? ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে?
এই ব্লকচেইন টেকনোলজি বর্তমানে প্রচুর হাইপ তৈরি করেছে কারণ এই blockchain technology ভবিষ্যতের প্রযুক্তি কি আমূল পরিবর্তন করে দিতে চলেছে। তো আপনি যদি ব্লকচেইন সম্পর্কে কিছু না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনারা ধৈর্য ধরে পড়ার চেষ্টা করুন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন ব্লক চেইন প্রযুক্তি কি ? ব্লকচেন কিভাবে কাজ করে ? ব্লকচেইন কত প্রকার ও কি কি ? ব্লকচেইন এর সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি বিষয়।
ব্লকচেইন কি ?
ডেটা স্টোর করার জন্য সব থেকে নিরাপদ একটি স্থান হল ব্লক চেন। যা কেউ নষ্ট ও হ্যাক করতে পারবে না। মূলত বিটকয়েন, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ব্যাংকিং এবং ইনভেস্টিং এর বিভিন্ন ডেটা ব্লকচেইন (blockchain) এ স্টোর করে রাখা হয়।
Blockchain কতগুলো ব্লকের সমষ্টি (chain of block) যেই ব্লক গুলো একে অপরের সঙ্গে চেনের আকারে বাঁধা থাকে। এই আলাদা আলাদা ব্লকে deta store থাকে, সিকিউরিটির জন্য প্রত্যেকটি ব্লকে একটি ইউনিক নাম্বার থাকে যা hash নামে পরিচিত এবং প্রত্যেকটি ব্লকে তার আগের ব্লকের hash ইনফরমেশন থাকে।
ব্লকচেইন কাকে বলে ?
pair to pair ও decentralize নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কতগুলি ব্লকে data এবং information সিকিউর ভাবে রাখা রাখা হয় যে ব্লগ গুলো একে অপরের সঙ্গে চিন আকারে কানেক্ট থাকে তাকে ব্লকচেইন বলে।
ব্লকচেইন এর ইতিহাস :
ব্লকচেইন টেকনোলজির আবির্ভাব ঘটে 1991 সালে Stuart Haber এবং W. Scott Stornetta এই দুজন ব্যক্তির দ্বারা। তখন কিন্তু এই ব্লকচেন টেকনোলজি জনপ্রিয়তা গুরুত্ব কিছুই ছিল না।
2008 সালে সাতোশি নাকামোতো বিটকয়েন আবিষ্কার করেন তো এই বিটকয়েন লেনদেনের জন্য তিনি সর্বপ্রথম এই ব্লকচেন টেকনোলজি ব্যবহার করেন তারপর থেকেই কিন্তু এর জনপ্রিয়তা তুমুল হারে বাড়তে থাকে। বিটকয়েন লেনদেনের সমস্ত ট্রানজেকশন হিস্টরি (transaction history) ব্লকচেন মধ্যে সংরক্ষিত থাকে কোন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ ছাড়া । বলা হয়ে থাকে বিটকয়েন আবিষ্কারের পর থেকে ব্লকচেইন এর যাত্রা শুরু হয়।
ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে :
আমরা জানলাম ব্লকচেইন এর প্রত্যেকটি ব্লকে থাকে সেই ব্লকের ডেটা, সেই ব্লকে নিজস্ব হ্যাস এবং আগের ব্লকের hash । হ্যাস (hash) হচ্ছে আইডেন্টিটি নাম্বার (identity numbers) এই হ্যাস এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি ব্লক একে অপরের সঙ্গে চেইন আকারে যুক্ত থাকে। প্রত্যেকটি ব্লকের hash কিন্তু একই রকম হতে পারে না। প্রত্যেকটি ব্লকের hash সবসময় আলাদা হয়। প্রত্যেকটি ব্লকের স্টোর ডেটা অনুযায়ী এই হ্যাস তৈরি হয়। কোন ব্লকের ডেটা যদি পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে অটোমেটিক সেই ব্লকের hash কিন্তু পরিবর্তন হয়ে যাবে।
মনে করুন আমি কোন ব্যক্তিকে ব্লকচেইন টেকনোলজির মাধ্যমে কোন তথ্য পাঠাবো বা সহজ ভাষায় বলতে গেলে বিটকয়েন পাঠাবো সে ক্ষেত্রে যে ব্যক্তিকে আমি বিটকয়েন পাঠাবো সেই ট্রানজাকশন টি একটি ব্লকের মধ্যে নেওয়া হবে। আর আমরা জানি প্রত্যেকটি ব্লক একে অপরের সঙ্গে চেইন আকারে যুক্ত থাকে। এইভাবে মূলত বৃহৎ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্লকচেইন কাজ করে থাকে।
ব্লকচেইন এর সুবিধা :
• ব্লকচেইন এর তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সব থেকে নিরাপদ ও উন্মুক্ত পদ্ধতির। ব্লকচেইন এর প্রতিটি ব্লকে ডেটা বা ইনফর্মেশন নিরাপদ ভাবে রাখা যায়।
• ব্লকচেন টেকনোলজি খুব নিরাপদ কারন এর ডেটা পরিবর্তন বা একে হ্যাক করা প্রায় অসম্ভব
• banking এবং finance এর সমস্ত লেনদেন এ ব্লকচেন টেকনোলজি মাধ্যমে করলে হ্যাকিং থেকে বাঁচা স্বম্ভব। বর্তমানে এই সেক্টরে blockchain technology অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
• প্রায় প্রত্যেকটি দেশে নির্বাচন নিয়ে বিরোধীরা ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলে এই ব্লকচেইন টেকনোলজির মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করালে ভোট কারচুপি রক্ষা করা সম্ভব।
• ব্লকচেইন এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাত (health care development) এ অনেক উন্নতি করা যেতে পারে। আপনার শারীরিক সকল তথ্য যদি ব্লকচেইন এ স্টোর করে রাখা হয় যেমন আপনি কয়বার ডাক্তার দেখিয়েছেন, আপনার এর আগে কোন সমস্যা ছিল কিনা ইত্যাদি তাহলে ডাক্তার এই সমস্ত বিষয়গুলো দেখে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
ব্লকচেইন এর জনপ্রিয়তা :
ব্লকচেইন টেকনোলজির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো এর উন্নত সিকিউরিটি। এর ডাটা পরিবর্তন বা hack করা অসম্ভব এর জন্য ব্লক এর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। এই ছাড়া ব্লকচেইন টেকনোলজির মাধ্যমে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির মধ্যস্থতা ছাড়া কোন ট্রানজেকশন নিরাপদে করা যাচ্ছে এতে মানুষের অনেক সুবিধা হচ্ছে। এইসব কারণের জন্য মূলত ব্লকচেনের জনপ্রিয়তা দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে।
ধন্যবাদ সবাইকে।

Comments
Post a Comment