বিটকয়েন কি?
বিটকয়েন হচ্ছে এক ধরণের সাংকেতিক মুদ্রা বা ভার্চুয়াল কারেন্সি। যা ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়ে থাকে। এটি একটি ওপেনসোর্স প্রোজেক্ট। কারণ এটি লেনদেন নিয়ন্ত্রনের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান নেই। মূলত ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতি নামক এক ব্যক্তি এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন। তিনি এই মুদ্রাব্যবস্থাকে পিয়ার টু পিয়ার লেনদেন নামে অভিহিত করেন। তাছাড়া, বিটকয়েনের ক্ষুদ্র সংস্করণ সাতোশি বলা হয়। আমাদের যেমন ১০০ পয়সা = ১ টাকা। বিটকয়েনের ক্ষেত্রেও তেমন, ১০০,০০০,০০০ সাতোশি = ১ বিটকয়েন।
বিটকয়েন মাইনার নামে একটি সার্ভার কর্তৃক এই সব বিটকয়েন গুলো সুরক্ষিত থাকে। এটি পেপাল, পাইজা, পারফেক্টমানি এর মত পেমেন্ট সিস্টেমগুলোও সমর্থন করে। বিশ্বজুড়ে বিটকয়েনের ব্যবহার এখন অসম্ভব পরিমাণে বেড়ে গেছে। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও এখন বিটকয়েন এর মাধ্যমে পেমেন্ট আদান-প্রদান করছে।
বিটকয়েন এর দাম কত?
বিটকয়েন এর দাম সবসময় কম বেশি হতে থাকে। কিন্তু এখন যদি বতমানে আমি বিটকয়েন দামের কথা বলি তো। বতমানে আপনাকে একটি বিটকয়েন কিনতে ভারতে টাকার অনুসারে আপনাকে একটি বিটকয়েনের মূল্য দিতে হবে 21,51,587.33 Indian Rupee.
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে শুধু একটি বিটকয়েন কিনতে চান এখন তাহলে আপনাকে একটি বিটকয়েন এর মূল্য দিতে হবে 25,04,107.51 Bangladeshi Taka.
বিটকয়েন ওয়ালেট:
আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টের মতো যেখান থেকে আপনি বিটকয়েন কিনবেন আর বিক্রয় করবেন।
আপনি যদি বিটকয়েন দিয়ে লেনদেন করতে চান সেই জন্য আপনাকে একটি বিটকয়েন ওয়ালেট তৈরি করতে হবে। আপনি বিটকয়েন ওয়ালেট ছাড়া বিটকয়েন কিনতেও পারবেন না আর বিক্রি করতে পারবেন না।
আপনি আপনার নিজের একটি বিটকয়েন ওয়ালেট খুব সহজেই তৈরি করতে শুধু আপনার কিছু তর্থ দিয়ে যেমন আপনার নাম ঠিকানা ইত্যাদি।
কীভাবে বিটকয়েন উপার্জন করা যায়:
১. বিটকয়েন আপনি যদি টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে আগে জানতে হবে অথবা বুঝতে হবে কখন বিটকয়েন দাম কমতে আর কখন বাড়তে পারে।
আপনাকে বিটকয়েন কিনে রাখতে হবে আর যখন ওই বিটকয়েনের দাম বেড়ে যাবে তখন আপনাকে বিটকয়েন বিক্রি করে দিতে হবে এই ভাবে আপনি বিটকয়েন থেকে যায় করতে পারবেন।
২. দ্বিতীয় উপায়টি হ'ল বিটকয়েন খনন। এর জন্য আমাদের উচ্চ গতির প্রসেসর সহ একটি কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে, যার হার্ডওয়্যারটিও ভাল হওয়া উচিত। আমরা শুধুমাত্র অনলাইন পেমেন্ট করতে বিটকয়েন ব্যবহার করি এবং যখন কেউ বিটকয়েন দিয়ে অর্থ প্রদান করে তখন সেই লেনদেন যাচাই হয়। যারা এই বিটকয়েন গুলি যাচাই করে তাদের খনির বলা হয় এবং সেই খনি শ্রমিকদের উচ্চ পারফরম্যান্স কম্পিউটার এবং জিপিইউ থাকে এবং তারা এর মাধ্যমে লেনদেন যাচাই করে। লেনদেনগুলি সত্য কিনা তা তারা যাচাই করে এবং এতে কোনও জালিয়াতি নেই। এই যাচাইয়ের বিনিময়ে, তারা পুরষ্কার হিসাবে কিছু বিটকয়েন পান এবং এইভাবে নতুন বিটকয়েন বাজারে আসে। যে কেউ এটি করতে পারেন, এর জন্য উচ্চ গতির প্রসেসরযুক্ত একটি কম্পিউটার প্রয়োজন।
প্রতিটি দেশে যেমন এক বছরে মুদ্রা মুদ্রণের সীমা থাকে যে আপনি বছরে কেবলমাত্র এতগুলি নোট মুদ্রণ করতে পারবেন, একইভাবে বিটকয়েনের সাথে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা $10 trillion বেশি বিটকয়েন বাজারে আসতে পারে না। অর্থাৎ বিটকয়েনের সীমা মাত্র $10 trillion এবং আরও বেশি বিটকয়েন কখনও পাবেন না এখন পর্যন্ত, প্রায় $350 billion বিটকয়েন বাজারে এসেছে এবং এখন নতুন বিটকয়েনগুলি খনির মাধ্যমে আসবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।

Comments
Post a Comment