Skip to main content

ডার্ক ওয়েব | ডীপ ওয়েব | এবং সার্ফেস ওয়েব কি?


 

ডার্ক ওয়েব | ডীপ ওয়েব | এবং সার্ফেস ওয়েব কি?


সার্ফেস ওয়েব: অনলাইনে আমরা যা সামনা সামনি দেখি বা যেসবের এক্সেস পাই সেগুলো হল সার্ফেস ওয়েব। এই যে লেখাটি পড়ছেন, এটা সার্ফেস ওয়েবেই আছে। সারফেস ওয়েব ইন্টারনেট এর মাত্র ৩-৪%।



ডীপ ওয়েব: যেসব অংশ দেখি না বা যেসব অংশের এক্সেস সবার জন্য না, সেসব অংশকে ডীপ ওয়েব বলে। অর্থাৎ ডীপ বা ভেতরকার অংশ। যেমন কোন ওয়েবসাইটের ডেটাবেজে আপনাকে ঢুকতে দেয়া হয় না। এছাড়াও ব্যাকএন্ডে অনেক কিছু আছে তাতে এক্সেস নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য। এগুলোই ডীপ ওয়েব।



Dark Web: ডার্ক ওয়েব  একটি রহস্যময় অন্তর্জাল। এই টপিকগুলো, স্পেশালি ডার্ক ওয়েব নিয়ে সবার কৌতূহলের শেষ নেই। কৌতূহলী লোকজনের মধ্যে অনেকের মাঝেই বিভিন্ন মিথে বিশ্বাস করা লোকের সংখ্যাও নেহাত কম না। তাই ডার্ক ওয়েব ইউজার হিসেবে কিছুটা ধারণা দেয়ার এবং ভুল ধারণা ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছি। ডার্ক ওয়েব হচ্ছে ইন্টারনেট এর এমন একটি স্তর যেখানে আইন, নিয়ম কানুন কিছুই চলেনা! আজ আমরা কথা বলবো ডার্ক ওয়েব নিয়ে!


অনেকেই এটাকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) এর বাইরের কিছু মনে করে। এটা একটা মিথ। মূলত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের কোন সার্ভারেই ডার্ক ওয়েবের অস্তিত্ব বিদ্যমান। ডার্ক ওয়েবে এমন কিছু কাজ হয়, যেসব সার্ফেস ওয়েবে করা হয় না। সাধারণত অবৈধ কাজ করার, অবৈধ সেবা নেয়ার, ফাঁসকৃত ডকুমেন্টস বেচাকেনার জায়গা এটা। কারণ ডার্ক ওয়েবে আপনার পরিচয় গোপন থাকছে  আর, ক্রিপ্টোকারেন্সি খরচ করার সবচেয়ে ভালো জায়গা এই ডার্ক ওয়েব! অবৈধ পন্য থেকে শুরু করে সিরিয়াল কিলার সব পাবেন এই ওয়েবে! এখানে আইন বলতে কিছু হয়না! এখানেই বসবাস হ্যাকার আর সিক্রেট সোসাইটির!  ডার্ক ওয়েবে ভালো মানুষ ও আছে যারা সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান এর হয়ে কাজ করে! ডার্ক ওয়েবের কাজের উপর কারপ নজরদারি নেই তাই এখানেই সিক্রেট কাজ গুলো করা হয়!


ড্রাগ কেনাবেচা,অবৈধ পাসপোর্ট,child porn, মানুষের উপর করা ভয়াবহ অত্যাচার এর ভিডিও,কালো যাদুর ভিডিও,মানুষের উপর সাইন্স এক্সপেরিমেন্ট এর ভিডিও, সিরিয়াল কিলার ভাড়া এসবই হয় এখানে!


কপিরাইট আর রেস্ট্রিক্সশনের জন্য বা সারফেস আর ডিপ ওয়েব এ করা যায় না এমন কাজ গুলোও এখানে হয়!


তবে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ যে অনেক কঠিন তা নয়! কিছু সাইট আর অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে পারেন! তবে আগে ভেবে নিন, যদি কোনো ভুল স্তর বা সাইটে চলে যান তাহলে ডার্ক ওয়েব থেকে বের হবার কোনো রাস্তা নেই! পৃথিবীতে অনেক মানুষ এর জন্য সুইসাইড করে মারা গেছে! এরকারন অনেক কিছুই বলা যায়! কোনো ভুল মানুষের আয়ত্তে চলে এলে সে আপনার সব তথ্য জেনে যাবে! আর গোপন তথ্য দিয়ে ব্লাকমেইল করবে! 


অনেকে এখানে প্রোডাক্ট অর্ডার করে তবে সবসময় যে তাদের অর্ডার করাই আসে তা না! অনেকের কাছে মানুষের কাটা দেহ,অনেকের কাছে আসে কালোর যাদুর জিনিস বা অভিশপ্ত বস্তু! অনেককে খুন করতে কিলার বাসায় চলে আসে!।


ডার্ক ওয়েব সব সময় এমন রহস্যময় থাকবে! এর ব্যাপারে সঠিক কিছু বলা যায়না! এতে ভালো খারাপ মিলেই আছে! তবে কেউ যদি ভুল সাইটে প্রবেশ করে তাহলে তা হবে একটা মৃত্যু ফাদ।


ধন্যবাদ সবাইকে 


Comments

Popular posts from this blog

What is hacking? হ্যাকিং কি?

  হ্যাকিং বলতে একটি কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে অননুমোদিত অ্যাক্সেস লাভের কাজকে বোঝায়। এতে হ্যাকার অ্যাক্সেস করার জন্য অনুমোদিত নয় এমন তথ্য বা সংস্থানগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে সিস্টেমের সুরক্ষার দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করা এবং শোষণ করা জড়িত। হ্যাকিং বিভিন্ন কারণে করা যেতে পারে, যার মধ্যে আর্থিক লাভ, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, অথবা একটি সিস্টেমের নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং উন্নত করা। যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অনুমতি ছাড়া হ্যাকিং অবৈধ এবং এর ফলে ফৌজদারি অভিযোগ, জরিমানা এবং কারাদণ্ড হতে পারে। হ্যাকিং দুই ধরনের: এথিক্যাল হ্যাকিং এবং অনৈতিক হ্যাকিং। এথিক্যাল হ্যাকিং, যা পেনিট্রেশন টেস্টিং নামেও পরিচিত, দুর্বলতা শনাক্ত করতে এবং নিরাপত্তা উন্নত করতে সিস্টেম মালিকের অনুমতি এবং জ্ঞান নিয়ে করা হয়। অপরদিকে, অনৈতিক হ্যাকিং করা হয় অনুমতি ছাড়া এবং দূষিত উদ্দেশ্যে। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে হ্যাকিং যখন নৈতিক এবং অনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি সর্বদা নৈতিক ও আইনানুগভাবে কাজ করা এবং অন্যদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাকিং বলতে সাধারণত কম্...

Termux Beginner to Advance Guidelines

  যারা এখনো টারমাক্স সম্পর্কে জানেন বা প্রশ্ন আছে টারমাক্স ইন্সটল করার পর কি করবো? তাদের জন্য পোস্ট টি। প্রথমত, টারমাক্স ইন্সটল করেই কারো আইডি হ্যাক করা বা হ্যাকার হয়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দেন। আগে শেখার উপর ফোকাস করেন। এখন আসি টারমাক্স এর ব্যাপারে, টারমাক্স সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে প্রথমে লিনাক্স সম্পর্কে জানতে হবে। লিনাক্স কি? লিনাক্স আসলে কোন অপারেটিং সিস্টেম নয়, এটি মূলত একটি কার্নেল—বলতে পারেন, যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের এটি হার্ট, কেনোনা কার্নেল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করে। যদি সহজ ভাষায় বলতে চেষ্টা করি, অবশ্যই লিনাক্স উইন্ডোজের মতোই একটি কমপ্লিট সিস্টেম, যেটার সাহায্যে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। তবে টেকনিক্যালি এটি উইন্ডোজ থেকেও বেশি কিছু। লিনাক্সকে একটি ইঞ্জিন বলতে পারেন, যেটি আলাদা অনেক অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য পাওয়ার প্রদান করে থাকে।  লিনাক্সের উপর তৈরি অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে ডিস্ট্রিবিউশন বা সংক্ষেপে ডিস্ট্রো বলা হয়, যেমন- উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, রেড হ্যাট, ফেডোরা, ইত্যাদি। বর্তমানে হ্যাকারদের বহুল ব্যাবহৃত Kali...

হালাল উপার্জন ?

  ইসলামী শিক্ষায়, হালাল উপার্জন বলতে এমন আয় বোঝায় যা হালাল উপায়ে এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে অর্জিত হয় যা ইসলামী আইন বা শরীয়াহ অনুসারে অনুমোদিত। মুসলমানদের জন্য হালাল উপার্জন করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ইসলাম প্রচার করে এমন নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। হালাল উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. একটি বৈধ ব্যবসা বা পেশা থেকে উপার্জন: এর মধ্যে রয়েছে শরীয়াহ অনুযায়ী বৈধ বাণিজ্য, বিক্রয় বা ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত আয়। 2. কর্মসংস্থান থেকে আয়: কর্মসংস্থান থেকে উপার্জন যেখানে সম্পাদিত কাজ ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থী নয় বা কোনো বেআইনি কার্যকলাপ জড়িত। 3. হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগ: ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবসা বা কোম্পানিতে বিনিয়োগ থেকে আয়। 4. উত্তরাধিকার: বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত উত্তরাধিকার হালাল উপার্জন হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, হারাম উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. সুদ-ভিত্তিক আয়: সুদ বা সুদ-ভিত্তিক উপার্জন ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। 2. অবৈধ বা অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে উপার্জন: জুয়া, ঘুষ বা অন্যান্য অনৈতিক উপায়ের মত অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে ...