Skip to main content

কম্পিউটারে ভাইরাস ডুকলে যা করবেন?




কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকেছে, কী করবো?


আমার জানামতে এই পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন। এই পদক্ষেপ ছাড়াও যদি অন্য কোন উপায় থাকে কমেন্ট এ জানিয়ে দিবেন,  ফলে আমিও সেই বিষয় জানতে পারবো ও অন্যরাও জানতে পারবে।

কম্পিউটারে ভাইরাস বা অন্য যেকোন ম্যালওয়্যার সংক্রমণের কোন তথ্য পেলে বা যদি সন্দেহও হয় যে, কম্পিউটারে ম্যালওয়ার ঢুকেছে তাহলে সাথে সাথেই কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেক। আমি এই পদক্ষেপ গুলোকে দুইটি মূল ভাগে ব্যাখ্যা করছি।

১. তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ :

প্রথমেই আক্রান্ত ডিভাইসকে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করুন। তবে পাওয়ার অফ করবেন না। এতে করে ম্যালওয়ার তথ্য চুরি করতে পারবে কম বা একটিভ হওয়া থেকে বাঁধা দেয়া যাবে কিছুটা।

কোন কোন ডিভাইসে ম্যালওয়ার এর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে সেটা খুঁজে দেখুন। কারণ কখনো কখনো একসাথে একাধিক ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি একটা ডিভাইস থেকে ম্যালওয়ার মুছলে আরেক ডিভাইস থেকে আবার ম্যালওয়ার ঢুকবে কম্পিউটারে।

কোন উপায়ে আপনার ডিভাইসে ম্যালওয়ার প্রবেশ করলো সেটা বোঝার চেষ্টা করুন (যতদূর সম্ভব)। যেমন খুঁজে দেখুন যে, আপনি কোন অপরিচিত সাইট থেকে কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড করেছিলেন কিনা বা কোন লিংকে ক্লিক করেছিলেন কিনা - এমন।

যদি খুঁজে পান যে আপনার ইমেইল বা ওয়েবসাইট থেকে ম্যালওয়ারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বা অন্য কোথাও থেকে, তাহলে সেগুলোর তথ্য পরিবর্তন করে ফেলুন দ্রুত। যেমন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন বা ২ ফ্যাক্টর অন করা প্রভৃতি।

২. ম্যালওয়ার রিমোভ :

প্রথমেই আপনার ডিভাইস থেকে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলো ফেলে দিন। কারণ ম্যালওয়ার অনেক সময় এই সফ্টওয়ার ব্যবহার করে একটিভ থাকতে পারে।

এরপর আপনি আপনার ডিভাইসে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন। যদি আগে ইন্টারনেট কানেকশন অফ করে দেন তাহলে কোন পেনড্রাইভ বা মেমোরি ডিভাইসের মাধ্যমে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করুন। আর যদি ইন্টারনেট কানেকশন অফ করা সম্ভব না হয় তাহলে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।

এন্টিভাইরাস হিসেবে প্রথমেই malwarebytes ডাউনলোড করুন। তাৎক্ষণিক ভাবে ম্যালওয়্যার খুঁজে বের করার জন্য এটার পারফর্মেন্স অনেক ভাল। আমিও এই সাইট ব্যবহার করি।
 লিংক : Download Malware Removal | Free Antivirus Scan & Virus Protection Tool
Android phone user রা একটা এপ ব্যবহার করতে পারেন - যেটার লিংক কমেন্ট বক্সে দিয়ে দিবো।

এরপর নিয়মিত ম্যালওয়ার স্ক্যান করার জন্য kaspersky বা bitdefender সেটাপ করুন। অনলাইনে এগুলোর ক্র্যাক ভার্সন পাওয়া যায়। ভুল করেও সেগুলো নামাবেন না। কারণ ক্র্যাক নিজেই একটা ম্যালওয়ার। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা এজেন্ট থেকে এন্টিভাইরাসের প্রিমিয়াম কিনে নিন। প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাসের দাম খুব বেশি নয়। বছরে ৮০০-১০০০ টাকা মতো হয়ে থাকে।

# সংক্রমণ পরবর্তী :

প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার আপনার ডিভাইস গুলোকে - full scan দিবেন। কারণ কিছু ম্যালওয়ার অনেক সময় দেরিতে লক্ষণ প্রকাশ করে যাতে এন্টিভাইরাস তাকে খুঁজে না পায়। আগে কিছুদিন চুপচাপ থাকে তারপর তার কাজ শুরু করে। তাই নিয়মিত মনিটরিং এ রাখলে অনেকটাই নিরাপদে থাকবেন।

আরো কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন বা ইনবক্সে ম্যাসেজ দিন - ইনশাআল্লাহ আমার যতটুকু ধারণা আছে সেই বিষয়ে, আপনাকে ততটুকু বুঝানোর চেষ্টা করবো।

 

Comments

Popular posts from this blog

What is hacking? হ্যাকিং কি?

  হ্যাকিং বলতে একটি কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে অননুমোদিত অ্যাক্সেস লাভের কাজকে বোঝায়। এতে হ্যাকার অ্যাক্সেস করার জন্য অনুমোদিত নয় এমন তথ্য বা সংস্থানগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে সিস্টেমের সুরক্ষার দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করা এবং শোষণ করা জড়িত। হ্যাকিং বিভিন্ন কারণে করা যেতে পারে, যার মধ্যে আর্থিক লাভ, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, অথবা একটি সিস্টেমের নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং উন্নত করা। যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অনুমতি ছাড়া হ্যাকিং অবৈধ এবং এর ফলে ফৌজদারি অভিযোগ, জরিমানা এবং কারাদণ্ড হতে পারে। হ্যাকিং দুই ধরনের: এথিক্যাল হ্যাকিং এবং অনৈতিক হ্যাকিং। এথিক্যাল হ্যাকিং, যা পেনিট্রেশন টেস্টিং নামেও পরিচিত, দুর্বলতা শনাক্ত করতে এবং নিরাপত্তা উন্নত করতে সিস্টেম মালিকের অনুমতি এবং জ্ঞান নিয়ে করা হয়। অপরদিকে, অনৈতিক হ্যাকিং করা হয় অনুমতি ছাড়া এবং দূষিত উদ্দেশ্যে। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে হ্যাকিং যখন নৈতিক এবং অনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি সর্বদা নৈতিক ও আইনানুগভাবে কাজ করা এবং অন্যদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাকিং বলতে সাধারণত কম্...

Termux Beginner to Advance Guidelines

  যারা এখনো টারমাক্স সম্পর্কে জানেন বা প্রশ্ন আছে টারমাক্স ইন্সটল করার পর কি করবো? তাদের জন্য পোস্ট টি। প্রথমত, টারমাক্স ইন্সটল করেই কারো আইডি হ্যাক করা বা হ্যাকার হয়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দেন। আগে শেখার উপর ফোকাস করেন। এখন আসি টারমাক্স এর ব্যাপারে, টারমাক্স সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে প্রথমে লিনাক্স সম্পর্কে জানতে হবে। লিনাক্স কি? লিনাক্স আসলে কোন অপারেটিং সিস্টেম নয়, এটি মূলত একটি কার্নেল—বলতে পারেন, যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের এটি হার্ট, কেনোনা কার্নেল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করে। যদি সহজ ভাষায় বলতে চেষ্টা করি, অবশ্যই লিনাক্স উইন্ডোজের মতোই একটি কমপ্লিট সিস্টেম, যেটার সাহায্যে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। তবে টেকনিক্যালি এটি উইন্ডোজ থেকেও বেশি কিছু। লিনাক্সকে একটি ইঞ্জিন বলতে পারেন, যেটি আলাদা অনেক অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য পাওয়ার প্রদান করে থাকে।  লিনাক্সের উপর তৈরি অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে ডিস্ট্রিবিউশন বা সংক্ষেপে ডিস্ট্রো বলা হয়, যেমন- উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, রেড হ্যাট, ফেডোরা, ইত্যাদি। বর্তমানে হ্যাকারদের বহুল ব্যাবহৃত Kali...

হালাল উপার্জন ?

  ইসলামী শিক্ষায়, হালাল উপার্জন বলতে এমন আয় বোঝায় যা হালাল উপায়ে এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে অর্জিত হয় যা ইসলামী আইন বা শরীয়াহ অনুসারে অনুমোদিত। মুসলমানদের জন্য হালাল উপার্জন করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ইসলাম প্রচার করে এমন নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। হালাল উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. একটি বৈধ ব্যবসা বা পেশা থেকে উপার্জন: এর মধ্যে রয়েছে শরীয়াহ অনুযায়ী বৈধ বাণিজ্য, বিক্রয় বা ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত আয়। 2. কর্মসংস্থান থেকে আয়: কর্মসংস্থান থেকে উপার্জন যেখানে সম্পাদিত কাজ ইসলামী মূল্যবোধের পরিপন্থী নয় বা কোনো বেআইনি কার্যকলাপ জড়িত। 3. হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগ: ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবসা বা কোম্পানিতে বিনিয়োগ থেকে আয়। 4. উত্তরাধিকার: বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত উত্তরাধিকার হালাল উপার্জন হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, হারাম উপার্জনের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে: 1. সুদ-ভিত্তিক আয়: সুদ বা সুদ-ভিত্তিক উপার্জন ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। 2. অবৈধ বা অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে উপার্জন: জুয়া, ঘুষ বা অন্যান্য অনৈতিক উপায়ের মত অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে ...